মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন
আবু বকর সুজন, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
আমাদের দেশের স্থানীয় সরকার কাঠামোর চারটা স্তর ছিল এক সময়; জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ ও গ্রাম সরকার।
এখন গ্রাম সরকারটি কার্যকর নেই, বিলুপ্ত হয়েছে। এখন তিনটি স্তর নিয়ে মূলত জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ, সিটি ও পৌরসভা: এই হলো স্থানীয় সরকার কাঠামো। আমরা যদি আরেকটু গভীরে যাই, জেলা ও উপজেলা পরিষদও কাজ করে উপজেলা পর্যায়ে। তার মানে কোন কাজটা হচ্ছে কোন কাজটা হয়েছে ইউনিয়ন পর্যায়ে এবং ইউনিয়ন পরিষদ আমাদের দেশের স্থানীয় সরকার কাঠামোর প্রাচীনতম স্তর। আমাদের দুইটা নাম, একটা সরকার, অপরটা স্থানীয় সরকার।
পৃথিবীর সকল উন্নত দেশে কেন্দ্রীয় সরকার মূলত পলিসি ম্যাকিংয়ের কাজটা করে, স্থানীয় জনগণের সেবামূলক যে কাজ সেটা ইউনিয়ন পরিষদ করে। স্থানীয় সরকার স্থানীয় পর্যায়ে আয় করবে, সেই আয় জনগণের কল্যাণে ব্যয় করবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমরা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর মতো সক্ষম করে তুলতে পেরেছি কি না ওকমাত্র উত্তর পারিনাই। এ
এখনও আমাদের স্থানীয় সরকার সেই রিলিপ নির্ভর স্থানীয় সরকার বলে মন্তব্য করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো: আমিরুল কায়ছার। তিনি বলেন, একটা সময় রিলিপ আসতো, স্থানীয় সরকারে আমরা যারা ছিলাম আমরা রিলিপ বিতরণ করতাম। সেই কনসেপ্ট থেকে আমরা এখনো বের হয়ে আসতে পারিনি। সেই টিআর সেই কাবিখা, সেই মাটির কাজ, উপজেলা পরিষদ এডিবি বরাদ্ধ দিবে, জেলা পরিষদ বরাদ্ধ দিবে। তাহলে স্থানীয় সরকার কোথা থেকে আসলো। স্থানীয় সরকার মানেই হলো যিনি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন তিনি জনগণের কাছ থেকে কর আদায় করবেন, এবং নাকরিকদের কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থ নাগরিকের কল্যাণে ব্যয় করবেন। কল্যাণ বলতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাসস্থান, পরিবেশ ও বিনোদনসহ আরো কিছু সামাজিক বিষয় রয়েছে। স্থানীয় সরকারে কিন্তু অর্থ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে, আইন রয়েছে: কিন্তু আমরা কতটুকু আদায় করতে পারছি। যদি টিআর কাবিখা, এডিবি, জেলা পরিষদ বরাদ্ধ বাদ দিয়ে কতটুকু আয় করলাম আর এই আয় দিয়ে কি ব্যয় করলাম, দেখা যাবে যে আমাদের কার্যক্রম বেশিদিন চলবেনা।
সোমবার দুপুরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসক/চেয়ারম্যান/প্যানেল চেয়ারম্যান, সদস্য, ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা, হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরগণের অবহিতকরণ, স্থানীয় সম্পদ আহরণ ও হিসাব ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় কোর্স পরিচালক ছিলেন কুমিল্লা স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক মো: মেহেদী মাহমুদ আকন্দ। কোর্স সমন্বয়ক ছিলেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জামাল হোসেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: শাফকাত আলী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: জোবায়ের আহমেদ। প্রশিক্ষণে উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নের ১৭৯ জন চেয়ারম্যান, পরিষদ সদস্য, সচিব ও হিসাব সহকারী অংশগ্রহণ করেন।
2025 © জনপদ সংবাদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ০১৭১২-০৬৮৯৫৩